ঢাকা : অনুমোদন না থাকায় ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। সেই সঙ্গে উৎপাদনকারী গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এই আদেশ দেন।
আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান উৎপাদনকারী গোলাম মোস্তফা। আদালতে তিনি তার দোষ স্বীকার করে নেন। পরে আদালত তাকে জরিমানা করে জামিন দেন।
এর আগে সকালে দোষ স্বীকার করে জামিন চান এসএমসি প্লাস বাজারজাতকারী কোম্পানি একমির মালিক তানভীর সিনহা। পরে তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করে জামিন দেন আদালত। এসময় তানভীর সিনহা দাবি করেন, এতে তাদের দোষ নেই। কারণ, তারা জানতেন না এটার লাইসেন্স নেই।
এরও আগে গত ১৬ মে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের আরেক কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
গত মঙ্গলবার বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দেবেন।
ওইদিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা করেন। এসময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আদালতকে জানান, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।
তিনি বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না এগুলো ওষুধ নাকি ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।