চট্টগ্রাম: রাজধানীতে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে দলটির ডাকা হরতালে চট্টগ্রামে কোথাও কোন প্রভাব পড়েনি। বৃহস্পতিবার দিনভর চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার কোথাও হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, সকালে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে আসে বন্দরনগরীর সড়কগুলো। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের দোকান-পাট যথারীতি ব্যবসায়িক কাজকর্ম হয়েছে। খোলা ছিল নগরীর বিভিন্ন বিপনী বিতান ও মার্কেট।
এছাড়া নগরীর মাঝিরঘাট, বাংলাবাজার এলাকায় কর্ণফুলী নদীর ঘাট এবং বিভিন্ন গুদামে ট্রাকে পণ্য বোঝাই হয় পুরোদমে। চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে পণ্য উঠানামার কাজও স্বাভাবিক ছিল। এদিকে হরতালের বিরুদ্ধে রাজপথে দিনভর সরব ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তবে গণমাধ্যমে জামায়াতের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, হরতাল চলাকালে জামায়াতের কোতোয়ালী, ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, বায়েজিদ, চকবাজার, খুলশী, সদরঘাট, আকবরশাহ ও পাহাড়তলী থানা শাখার উদ্যোগে পৃথক পৃথক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে কোন স্থানে এসব কর্মসূচী পালন করা হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মো. তানভীর বলেন, ‘হরতালে নগরীর কোথাও বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল।’
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘কোথাও কোন বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল।’