ঢাকা : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে সাজেক পর্যটন এলাকায় পাহাড় কেটে রিসোর্টের সুইমিংপুল নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের যৌথ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর করা এ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এইচআরপিবির চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
তিনি জানান, ‘মেঘপল্লী রিসোর্ট’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণের কাজ করছে। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট ও পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে। আদালত এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে সুইমিংপুল নির্মাণ কাজ বন্ধসহ সাজেক ও আশপাশ এলাকায় অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা বন্ধের আদেশ দিয়েছেন আজ। এছাড়া অননুমোদিত পাহাড় কাটায় যারা জড়িত আছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ আইনজীবী।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানিয়েছেন, প্রাথমিক শুনানি শেষে সাজেকসহ আশপাশের এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে আদালত। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার রুইলুই, হামারি এবং কংলাক—এই তিনটি পাড়া নিয়ে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উপরে অবস্থিত এ পর্যটনকেন্দ্রে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণ করছে মেঘপল্লী রিসোর্ট। এতে একদিকে যেমন সাজেকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।