মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা চলছে : আল্লামা শফী

প্রকাশিতঃ ৬ অক্টোবর ২০১৭ | ১০:৫৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম: রোহিঙ্গাদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

‘আরাকানে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা বন্ধ, মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে রোহিঙ্গাদের আরকানে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, এদের (রোহিঙ্গা) নাস্তিক বানানোর চেষ্টা হচ্ছে, খুবই সতর্ক থাকুন। তাদের জন্য গ্রামে গ্রামে যেন মসজিদ, মাদ্রাসা হয়, সেভাবে চেষ্টা করবেন।

হেফাজত আমির বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেদেশের সরকারি বাহিনী যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে মর্মান্তিক। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু রাজনৈতিক নয়, মানবিক। আমরা দায়িত্ববোধ থেকে আন্দোলন করছি। আল্লাহ রোহিঙ্গা মুসলমানকে তুমি হেফাজত কর। রোহিঙ্গা নারী শিশুদের হেফাজত কর।

সমাবেশে সংগঠনের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, অং সান সু চি একজন আন্তর্জাতিক জঙ্গি। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গণহত্যার দায়ে তাকে আন্তর্জাতিক আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। সরকারের প্রতি কূটনৈতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং তাতে কাজ না হলে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। তারপরও যদি না হয়, সু চির বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিন। আমরা জিহাদের জন্য তৈরি আছি।

জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, মুসলিম রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে। আল্লামা আহমদ শফী যদি জিহাদের ডাক দেন প্রয়োজনে কারা তৈরি আছেন হাত তুলুন। এ সময় সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে তার বক্তব্যে সমর্থন জানান।

সমাবেশে হেফাজতের নায়েবে আমির আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা নুর হোসেন কাসেমী, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সলিমুল্লাহ,মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা হাসনাত আমিনী, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।