সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ত্রাণ পাঠিয়েছে চীন ও ভারত

প্রকাশিতঃ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ২:১৭ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারত ও চীনের সাড়ে সাতশ টন ত্রাণ চট্টগ্রামে এসেছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে চীনের ত্রাণবাহী বিমান ও চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ত্রাণবাহী ভারতীয় জাহাজ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে তার সরকারের পাঠানো ত্রাণ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশে চীন দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল কাউন্সেলর লি গুয়াংজুন বিমানবন্দরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে এই ত্রাণ হস্তান্তর করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম বন্দরের ১ নম্বর জেটিতে পৌঁছায় ভারত থেকে তৃতীয় চালানে ৭০০ টন ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস ঘড়িয়াল। আর চীন থেকে পাঠানো দ্বিতীয় চালানে সাড়ে ৫৩ টন ত্রাণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ সকালে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামে। এছাড়া প্রথমবারের মত ত্রাণ পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য; দেশটির টন ত্রাণবাহী বিমান বেলা ১টায় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভারত থেকে তৃতীয় দফায় আসা এই ত্রাণের চালানে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, চা, গুঁড়ো দুধ, বিস্কুট, সাবান ও মশারি রয়েছে। মোট ৬২ হাজার প্যাকেট ত্রাণ রয়েছে সেখানে। এছাড়া চীন থেকে বৃহস্পতিবার আসা দ্বিতীয় চালানে রয়েছে তিন হাজার কম্বল। বুধবার একটি চীনা বিমানে ৫৭ দশমিক শূন্য তিন টন ত্রাণ এসেছিল। সেখানে ছিল ২২০০ তাঁবু। এসব ত্রাণ কক্সবাজারের উখিয়ায় পাঠানো হচ্ছে।

মিয়ানমারে নতুন করে দমন-পীড়নের মুখে গত এক মাসে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের মিত্র চীন ও ভারত রোহিঙ্গাদের দমনে দেশটির সরকারকে সমর্থন দিলেও পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীর অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সংস্থানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ, রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্টের দেওয়া মোট এক হাজার ৩০৩ টন ত্রাণ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।

এর মধ্যে ভারত দুটি বিমান ও একটি জাহাজে ৮০৭ টন, চীন দুটি বিমানে ১১০ দশমিক ৫৩ টন, সৌদি আরব একটি বিমানে ৯৪ টন, ইন্দোনেশিয়া আটটি বিমানে ৭৭ টন, ইরান দুটি বিমানে ৬৮ টন, মরক্কো একটি বিমানে ১৪ টন ও মালয়েশিয়া একটি বিমানে ১২ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে। এছাড়া মালয়েশিয়ার রেড ক্রিসেন্ট ১০১ দশমিক ৫ টন ও জাপানি রেডক্রস ১৮ দশমিক ৫ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে বাংলাদেশে।