মোর্শেদ নয়ন : প্রথমবারের মত কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের নতুন নেতৃত্ব বেছে নিচ্ছেন নবগঠিত উপজেলাটির ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ জন ভোটার।
বন্দরনগরের একেবারে কাছের এই উপজেলা পরিষদে কি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী থাকবেন চেয়ারম্যানের চেয়ারে; নাকি উপজেলা পরিষদে যাবেন ধানের শীষের প্রার্থী এডভোকেট এসএম ফোরকান- ভোটের ব্যালটে কর্ণফুলীবাসী সেই রায় দিচ্ছে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে এ উপজেলার ৪২টি কেন্দ্রে কেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আবু ছাঈদ জানিয়েছেন, প্রতি ২ কেন্দ্রে ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ ইউনিয়নের ৪২টি নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিটিতে ৭ জন পুলিশ, ১৩জন আনসার সদস্য এবং বিজিবি ও র্যাবের ৫টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফারুক চৌধুরী, বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী এডভোকেট এসএম ফোরকান ও ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির রিজভী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিদারুল আলম, বিএনপির প্রার্থী হাজী মুহাম্মদ ওসমান, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা মো. মুছা ও ইসলামিক ফ্রন্টের নাসির আহমদ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বানাজা বেগম, বিএনপির প্রার্থী উম্মে মিরজান শামীমা ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুন্নি বেগম।
নবগঠিত কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের বহু প্রতিক্ষিত এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এতদিন উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।
২০১৬ সালের ৯ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)-এর ১১২ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাকে উপজেলায় উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার; পটিয়া উপজেলাধীন চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা, শিকলবাহা, জুলধা ও বড় উঠান ইউনিয়ন সমন্বয়ে এই উপজেলা গঠন করা হয়।
নতুন এ উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় তিন লাখ। চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের আনুষ্ঠানিক দাপ্তরিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।