রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

দু’দিন পর জাহাজ গেল সেন্টমার্টিন

কেটে গেছে বৈরী আবহাওয়া

প্রকাশিতঃ ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ১২:২৯ অপরাহ্ন

কক্সবাজার : ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল গত দু’দিন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বৈরী আবহাওয়া কেটে যাবার পর এ নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল আবার শুরু হয়েছে। এতে করে রাত্রি যাপনে থেকে গিয়ে দ্বীপে আটকা ৪ শতাধিক পর্যটকরা দু’দিন পর ফেরার সুযোগ পাবেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ ও বারো আউলিয়া নামের দু’টি পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব কেটে যাওয়ায় সমুদ্র বন্দর থেকে সর্তক সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। সেই মতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে কেয়ারি সিন্দবাদ ও বারো আউলিয়া নামের দু’টি পর্যটক বাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর আগে ঘুর্ণিঝড় মিধিলির কারণে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে বৃহস্পতিবার থেকে নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতের বার্তায় বৃহস্পতিবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বুধবার দমদমিয়া জেটিঘাট দিয়ে সকালে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৩২ জন, আটল্যান্টিকে ৮৯ ও এমভি বার আউলিয়া করে ২৯৮ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যান। পরে জাহাজে করে বেলা তিনটায় তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত আসলেও অন্যরা দ্বীপে রয়ে যান। আগের দিন মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়ে রাত যাপনের জন্য ছিলেন দু’শতাধিক পর্যটক। ফলে দ্বীপে চার শতাধিক পর্যটক ঘূর্ণিঝড় মিধিলি চলাকালে দ্বীপে আটকা পড়ে। শনিবার থেকে সমুদ্র বন্দর থেকে সর্তক সংকেত প্রত্যাহার হলে সকাল ১০টার দিকে দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে ৬২ জন পর্যটক নিয়ে কেয়ারি সিন্দবাদ ও কোন পর্যটক ছাড়া বারো আউলিয়া জাহাজ দুটি সেন্টমাটিন উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এ জাহাজ দুটি দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটক নিয়ে ফিরবে।