জোবায়েদ ইবনে শাহাদাত : নোমান আল মাহমুদ। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের মিছিলে যোগদানের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রকাশ্যে রাজপথে আন্দোলনও করেন, ছিলেন সম্মুখসারির একজন। সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগে। সততা, মেধা ও আদর্শিক রাজনীতির মাধ্যমে তিনি হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে হেভিওয়েট বাঘা মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের পেছনে ফেলে নৌকার মনোনয়ন পান নোমান। অথচ অর্থবিত্ত, পেশিশক্তি কিংবা দেনদরবার- সবকিছুতেই পিছিয়ে তিনি। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও সততার কারণে মনোনয়ন পেয়ে ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে জয়ী হন নোমান আল মাহমুদ।
ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত নোমান আল মাহমুদের সাদাসিধে জীবন অনেকেরই অজানা। যা উঠে এসেছে একুশে পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। তিনি কথা বলেছেন নিজের রাজনীতির শুরু, প্রাপ্তি নিয়ে। জানিয়েছেন মনোবাসনার কথা। বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ রাজনীতিক প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
প্রথমবার এমপি হওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে নোমান আল মাহমুদ বলেন, ‘এটা আমার জীবনের প্রথম নির্বাচন, এর আগে কোথাও কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। একজন রাজনৈতিক কর্মীর আশা থাকে জনপ্রতিনিধিত্ব করার। স্বাভাবিকভাবেই আমার মনেও এরকম আশা ছিল। হঠাৎ করেই এই উপনির্বাচন আমাদের মাঝে এসে পড়ে। এই নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়ে আমি অবাক হয়েছিলাম, আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তৃণমূলের কর্মী হিসেবে বেছে নিয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন। এটা আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় পাওয়া।’
নোমান আল মাহমুদ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন বড়ভাইকে দেখে। শৈশব-কৈশোরে তার ধ্যানধারণা জুড়ে ছিল রাজনীতি। তিনি বলেন, ‘আমি শৈশবে তেমন একটা ডানপিটে ছিলাম না। লেখাপড়া করতাম পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও আমার বিচরণ ছিল। আমার পরিবার ছিল আওয়ামী ঘরানার। বাবা সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে আজীবন কাজ করে গেছেন। আর বড়ভাই ছাত্রলীগ করতেন। ১৯৬৫ সালে কমার্স কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। পরবর্তীতে শহর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরীর একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের একটা প্রভাব আমার ছাত্রজীবনে পড়েছিল। স্কুলজীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল থেকে ১৯৭০ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছি। উচ্চমাধ্যমিক সিটি কলেজ এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ডিগ্রি পাশ করি। এসময়টায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতি করতাম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজনীতিতেই মগ্ন থাকতাম।’
নোমানের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের মিছিলে যোগদানের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘স্কুলছাত্র থাকা অবস্থায় গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ আমাদের কাছে মূল নায়ক ছিলেন। তাদের নেতৃত্বেই ছাত্ররা তখন রাজপথে নেমেছিল। আমার ছাত্ররাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মূল পয়েন্ট ছিল এই গণঅভ্যুত্থান। সেসময় তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ মিছিল বের করতো।’
‘তখন মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুলে আমাদের সিনিয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, আমার বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস, শেখ মো. ইছহাকের নেতৃত্বে আন্দোলন করে রাজপথে বেরিয়ে পড়েছিলাম। তখনই আমি তাদের সাথে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি। এভাবে ধীরে ধীরে রাজনীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ি। এরপর ১৯৭১-৭৩ সাল পর্যন্ত সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম।’
দীর্ঘ ৯ বছর মহানগর যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন নোমান। ছাত্রলীগে দীর্ঘ সময় পার করার পর যুবরাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। কারণ সেসময় রাজনীতিই ছিল তার একমাত্র নেশা। এই সময়ের স্মৃতিচারণ করে নোমান বলেন, ‘রাজনীতিতে এতোটাই বিভোর হয়ে থাকতাম যে অন্যকিছুর জন্য সময় রাখতাম না। আমার এই ডেডিকেশন দেখে ১৯৭৯ সালে যুবলীগ মহানগর কমিটির প্রাথমিক সদস্য করা হয়। এরপর ১৯৮৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বরে মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এর মাঝে ১৯৯৪ সালে আমি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হই।’
‘পরবর্তীতে ২০০৪ সালেও আমাকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য করা হয়। যুব রাজনীতির পরপরই আওয়ামী লীগের রাজনীতির দিকে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তখন মহানগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করতাম। দলের সংগঠক হিসেবেও কাজ করেছি। ২০১৩ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে আমি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। আজ পর্যন্ত অর্পিত এই দায়িত্ব পালন করছি।’
রাজনৈতিক চলার পথে প্রতিকূলতার কথা জানতে চাইলে সাংসদ নোমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমরা রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কাজী এনামুল হক দানু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল আহমেদ, লিয়াকত আলী খানের নেতৃত্বে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছিলাম। সেসময় আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতাম। তখন আমাদের উপর সামরিক জান্তার কড়া নজরদারি ছিল। আমাদের বেশকিছু নেতৃবৃন্দকে ওইসময় গ্রেপ্তার করা হয়, অনেকেই নির্যাতিত হন। বেশ আতঙ্কের মধ্যে আমাদের সেই সময়টা পার করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫-৯৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২১ বছর আমাদের প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই রাজনীতি করতে হয়েছে।’
নোমান আল মাহমুদ বিশ্বাস করেন আজকে তার এমপি হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করেছেন তার দলের নেতাকর্মীরা। মনোনয়ন পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম আওয়ামী পরিবার সকল ভেদাভেদ ভুলে আমাকে এমপি বানাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি দলের সক্রিয় কর্মী। এই কারণেই হয়তো দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক, ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ এবং মুজিব আদর্শের সৈনিকেরা আমাকে জয়যুক্ত করার জন্য কাজ করেছেন। এমনকি দলেও সিনিয়র নেতা, মন্ত্রী-এমপি সকলের সহযোগিতা পেয়েছি। একটি লোকের কাছ থেকেও আমি বিরোধিতা বা অসহযোগিতা পাইনি। এখানেই আমার আনন্দ, আমার পাওয়া যে একজন তৃণমূলের কর্মীর জয়ের জন্য তারা মরিয়া হয়ে খেটেছেন।’
আজীবন আ জ ম নাছির বলয়ে রাজনীতি করেছেন নোমান। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে নাছিরের ভূমিকা যে অকল্পনীয় ছিল তা অকপটে স্বীকার করেন তিনি। আ জ ম নাছিরের মত সহকর্মী বন্ধু পাওয়ায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন নোমান। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে আমার সম্পর্ক হয় চট্টগ্রাম কলেজে। তিনি যখন উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে ভর্তি হন, তখন আমি চট্টগ্রাম কলেজের বিএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলাম। তিনিও কিন্তু তৃণমূলের রাজনীতি করে আজ চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-ব্যক্তিত্ব হয়েছেন। আমরা দুজনেই কিন্তু ইনস্টিটিউশনাল পলিটিক্স করেই আজকে এই জায়গায় এসেছি। ছাত্র-যুব ও আওয়ামী রাজনীতিতে তিনি আমার সহযোদ্ধা। সে কারণেই তার সাথে আমার সম্পৃক্ততা বেশি। আমাদের সখ্যতা দীর্ঘদিনের।’
‘এই উপনির্বাচনে তার ভূমিকা ছিল অকল্পনীয়। নির্বাচনী পরিচালনা, গণসংযোগ- সব কাজেই তিনি প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি আমাকে আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। তবে তিনি যে শুধু আমার জন্য এমনটা করেছেন তা নয়। নিজে মেয়র মনোনয়ন না পেয়েও বর্তমান সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর জন্য নিজের সকল শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে কাজ করেছেন। এর আগেও ২০১৮ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্বাচনে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। প্রয়াত নেতা মোছলেম উদ্দিনের উপনির্বাচনেও একইভাবে তিনি কাজ করেছেন। কোনো নির্বাচন আসলেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন।’
তৃণমূলের একজন কর্মীকে টেনে এনে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, বিষয়টা এখনও স্বপ্নের মত নোমান আল মাহমুদের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি তৃণমূলের সামান্য একজন কর্মী। আমার মতো একজন মানুষকে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন এজন্য তার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি মনে করি মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই আমার উপর একটা গুরুদায়িত্ব এসে গেছে। নেত্রী স্বয়ং এই দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। এটা আমার জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমার সংগঠন, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে, এলাকাবাসীর জন্য কাজ করা এবং প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করা এখন আমার প্রধান দায়িত্ব।’
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন নোমান। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজে নিয়েছেন। তিনি যা বলেন তা করেন, এর প্রমাণ আপনারা পদ্মাসেতু নির্মাণের মাধ্যমে পেয়েছেন। কালুরঘাট সেতুর নকশা ইতোমধ্যে তৈরিও হয়েছিল, নকশায় কিছু ত্রুটি থাকায় এটি একনেকে পাস হয়নি। তবে এই সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কালুরঘাট সেতুর বিষয়টি আগামী একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়ার জন্য সংসদে সোচ্চার থাকবো। ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে দ্রুত সেতুটি নির্মাণের ব্যাপারেও আমি কথা বলবো।’
‘নির্বাচনী ইশতিহারে আমি আমার কিছু চিন্তাভাবনার কথা তুলে ধরেছি। যেমন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য একটি স্মৃতিস্তম্ভ, একটি কমপ্লেক্স করার ইচ্ছে আমার আছে। যানজট নিরসনে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আমার আছে। যদিও আমার হাতে খুব একটা বেশি সময় নেই। তারপরও আমার সংসদীয় আসনের উন্নয়নে যতটুকু সম্ভব আমি নিজেকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবো।’
নোমান আল মাহমুদের শৈশব-কৈশোরের বড় একটা সময় কেটেছে ক্রীড়াঙ্গন ঘিরে। ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম রাইজিং স্টার জুনিয়র ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া নোমান বর্তমানে একই ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বর্তমানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তাই একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে খেলার মাঠের অভাবটা তিনি বোঝেন। খেলার মাঠের অপ্রতুলতা তাকে পীড়িত করে। নোমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে খেলার মাঠের অভাব আছে। তবে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলে সেখানেও খেলার মাঠ করা যেতে পারে। খেলার মাঠ নিয়ে আমার পরিকল্পনা আছে।’
স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তার ছোট পরিবার। নোমানের সহধর্মিণী একজন গৃহিণী। দুই ছেলেই দেশে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাইরে যান। বড় ছেলে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে বর্তমানে পরিবার (স্ত্রী-সন্তান) নিয়ে দেশে অবস্থান করছেন। আর ছোট ছেলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে স্নাতক শেষ করেছেন। মেয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ঢাকায় আবুল খায়ের গ্রুপে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন, তিনি বিবাহিত। বর্তমানে সহধর্মিণীকে নিয়ে বেশ সুখেই আছেন নোমান আল মাহমুদ।
রাজনীতির পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য কী করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক রকমের ব্যবসা করেছি। একসময় শিপ চ্যানেলিং করতাম। জাহাজে সাপ্লাই করতাম। কনস্ট্রাকশন ব্যবসাও করেছি, যদিও এখন ওইসব আর করি না। কারণ বয়স বেড়েছে, তাছাড়া সময়ও হয় না। বর্তমানে টুকটাক সাপ্লাই ব্যবসা করি। তবে আর্থিক চিন্তা আমার করতে হয় না। কারণ আমার ছেলে-মেয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল, বড় ছেলে বিদেশে চাকরি করে। মেয়েও চাকরি করে। তাছাড়া পৈত্রিক কিছু সম্পত্তি আছে সেগুলো দেখাশোনা করি, এসব নিয়ে বেশ ভালোই আছি।’
সহযোগিতায় : আবছার রাফি, এম কে মনির