চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে সোনা চোরাচালানের মামলায় শাহিন মিয়া নামে এক আনসার সদস্যের আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূরের আদালতে আত্মসমর্পন করেন তিনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সোনা চোরাচালান মামলার আসামি আনসার সদস্য শাহিন মিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ৭ জুন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, বিমান বাংলাদেশের ট্রাফিক হেলপার কে এম নুরদ্দিন এবং আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান জামিন নিয়েছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রামের বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসেন আলাউদ্দিন চৌধুরী। সেদিন তার ব্যাগ হারিয়ে গেছে অভিযোগ করে তিনি বিমানবন্দর ছাড়েন। পরদিন বিমানবন্দরের ‘হারানো ও প্রাপ্তি’ শাখায় আলাউদ্দিনকে নিয়ে হাজির হন বিমানবন্দরটির তখনকার ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকশেদ। ওই ব্যাগ স্ক্যানিং করে ২৫টি সোনার বার পাওয়া গেলে মোমেন মোকশেদ ও আলাউদ্দিন সরে পড়েন।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সাত জনের বিরুদ্ধে নগরীর পতেঙ্গা থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। এই সাত জন হলেন- চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মোমেন মোকশেদ, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, আনসারের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার ইলিয়াস উদ্দিন, বিমানের ট্রাফিক হেলপার কে এম নুরুদ্দিন, আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান ও শাহিন মিয়া এবং দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিন চৌধুরী। বর্তমানে মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে।