চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ইসহাক মিয়ার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নেন। বর্ষিয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতার জানাজায় অংশ নিয়েছেন বিএনপির নেতারাও।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইসহাক মিয়ার প্রথম দফা নামাজে জানাজা নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরি। জানাযা পূর্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মরহম ইসহাক মিয়ার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। লাল সবুজের জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় তার কফিন।
জানাজা শুরুর আগে স্মৃতিচারণ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, মানুষ জন্ম নিলেই তার মৃত্যু নির্ধারিত হয়ে যায়। আমাদের প্রবীণ জননেতা ইসহাক মিয়া চলে গেলেন। মানুষের আসা এবং যাওয়ার মধ্যে যে সময়টুকু সেই সময়ে মানুষের মন জয় করতে পারাটাই জীবনের সার্থকতা। ইসহাক মিয়া মানুষের মন জয় করতে পেরেছিলেন।
জানাজা শেষে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ইসহাক মিয়ার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বর্ষিয়ান এ নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
প্রথম দফা জানাযায় মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমিন, সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক ও বিএনপির সাবেক সাংসদ সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী অংশ নেন।
প্রথম দফা জানাযা শেষে ইসহাক মিয়ার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রাবাদস্থ বাসভবনে। দুপুর ২টায় সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে গত সোমবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা।