সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

পাহাড়তলী বধ্যভূমি রক্ষায় গাজী সালেহ উদ্দিন একাই লড়ছেন : মুনতাসির মামুন

প্রকাশিতঃ ১৭ জুলাই ২০১৭ | ৬:১৮ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম: ‘মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে এখন বেঁচে আছেন খুবই অল্প সংখ্যক ব্যক্তিত্ব। এই মানুষগুলো পৃথিবীতে বিদায় নেওয়ার পর পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আর্কাইভই একমাত্র পাথেয়। শহীদ আলী করিম ফাউন্ডেশন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে উপস্থানের লক্ষেই ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ’ নির্মাণ করেছে।’

রোববার বিকেলে খুলশীর ঝাউতলা নৈতিক স্কুলে এ আর্কাইভ উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেছেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ প্রফেসর মুনতাসির মামুন।

তিনি এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোজাফফর আহমদ। এছাড়া সভাপতিত্ব করেন শহীদ আলী করিম ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইতিহাসবিদ প্রফেসর মুনতাসির মামুন বলেন, ‘চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষলে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এরপরও এ নির্দেশনা অমান্য করে প্রভাবশালীরা বধ্যভূমি দখলের চেষ্টা করছে। যা আদালত অবমাননার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধেরও অবমাননা।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে আপোসহীনভাবে প্রফেসর গাজী সালেহ উদ্দিন একাই নিজ পয়সায় মুক্তিযুদ্ধে প্রধান স্মৃতি স্থাপনা পাহাড়তলী বধ্যভূমি রক্ষার আন্দোলন-লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ’ গঠনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে তুলে ধরার প্রয়াস চালাচ্ছেন। এটিকে শুধু আর্কাইভ নয়, এটিকে একটি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করতে হবে।’

‘গাজী সালেহ উদ্দিন পথশিশুদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে এ এলাকায় ‘নৈতিক স্কুল’ নামে যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন সেটিকে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা উচিত।’