সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

সেই নবী ও আরসার হাতে মিয়ানমারে তৈরি গ্রেনেডসহ ভারি অস্ত্র

প্রকাশিতঃ ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন


জসিম উদ্দিন, কক্সবাজার : আধিপত্য বিস্তারে নিজেদের শক্তি বাড়াতে প্রতিযোগিতা করে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে সাধারণ রোহিঙ্গা হিসেবে ছদ্মবেশে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীরা কর্তৃক অত্যাধুনিক এম-১৬, একে-৪৭ এর মত অস্ত্রের পর অত্যাধুনিক গ্রেনেড ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এখন টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে রোহিঙ্গা নেতাদের। ক্যাম্পে গত চার মাসে ২৩ জন হত্যার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা। এ ছাড়াও গেল চার মাসে শুধু উখিয়া থেকে ৩৭ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায় করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। অপহৃতদের বেশিরভাগ স্থানীয় বাসিন্দা।

এ অবস্থায় রোহিঙ্গারা স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে মনে করছে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, অত্যাধুনিক এম-১৬ এবং একে-৪৭ উদ্ধারের পর সম্প্রতি কক্সবাজারে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে আলোচিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন বাহিনীর সক্রিয় কমান্ডার মোঃ নবীর বাড়ি থেকে একটি গ্রেনেড উদ্ধারের পর থেকে নড়েচড়ে বসেছেন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা। গ্রেনেড উদ্ধারের পর থেকে ক্যাম্পে স্বাভাবিকভাবে আতংক বেড়েই চলছে। উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডটি দেখতে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট নৃশংস হামলায় ব্যবহার করা পাকিস্তানে তৈরি আর্জেস গ্রেনেডের মত হলেও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মিয়ানমারে তৈরি অত্যাধুনিক গ্রেনেড। এ ঘটনায় নবীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গার বসতিতে পাওয়া সবুজ রঙের গ্রেনেডটি আর্জেস গ্রেনেডের মতো। অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পেরেছে, গ্রেনেডটি নবী হোসেন বাহিনীর। ঘটনার সময় আহত অবস্থায় গ্রেফতার মো. নবী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেনের অন্যতম সহযোগী, তাই গ্রেনেডটি তার ঘরে কীভাবে এসেছে তা জানতে মো. নবীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান ওসি।

এদিকে গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে পিলে চমকানো তথ্যে পাওয়া গেছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, নবী হোসেনের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সীমান্তের তোতার দ্বীয়ায় গোপন আস্তানায় শতাধিক গ্রেনেড বিপুল সংখ্যক অত্যাধুনিক অস্ত্রের চালান মজুদ করা হয়েছে।সেখান থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পে অস্ত্রগুলো নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেনেডগুলো মিয়ানমারের তৈরি বলে দাবি করা হচ্ছে। অস্ত্র সংগ্রহে পিছিয়ে নেই কথিত আরসা নামধারীরাও। তারাও মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতায় সীমান্তে ঘাঁটি করে অস্ত্র মজুদ করেছে।

অভিযোগ আছে, বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মাদকের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে দেশের ভেতরে সন্ত্রাসবাদ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গ্রেনেডসহ ভারি অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী প্রমাণ করে প্রত্যাবাসন বাধাগ্রস্ত করতে চায় মিয়ানমার।

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ওপরে নজর রাখা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আছে, সম্প্রতি নবী হোসেন ও কথিত আরসার কাছে মিয়ানমারের তৈরি বিপুল সংখ্যক গ্রেনেডের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক ভারি অস্ত্রের যোগান দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শুধু আলোচিত এক নবী হোসেনের হাতে শতাধিক গ্রেনেড মজুদ রয়েছে। এসব গ্রেনেড দিয়ে ক্যাম্প ও ক্যাম্পের বাইরে বড় ধরনের হামলা চালাতে সক্ষম নবী হোসেন। বিষয়টি ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ২৯ এপ্রিল একুশে পত্রিকায় ‘হাজার কোটি টাকার অস্ত্র আনছে রোহিঙ্গা সস্ত্রাসী’ শিরোনামে একটি তথ্যবহুল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ক্যাম্প থেকে এম-১৬ উদ্ধারের পাশাপাশি একে-৪৭ ও বিদেশি বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্র ও ৪ লাখ ইয়াবাসহ নবী হোসেনের ইয়াবা সেক্টরের প্রধান ইলিয়াসসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‍্যাব-১৫। নবীকে ধরতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ৩৪ বিজিবির পক্ষ থেকে।

সম্প্রতি ৬ রোহিঙ্গা যুবক বিদেশে পিস্তল হাতে এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেছেন, নবী হোসেন তাদের দিয়ে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করিয়েছেন এবং ইয়াবা ব্যবসা করতে বাধ্য করছেন। যদিও ভিডিওটা প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন অনেকে।

রোহিঙ্গা নবী হোসেনকে ধরতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির সদ্য বদলি হওয়া অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির জানিয়েছিলেন, নবী হোসেন দেশের জন্য হুমকি। তার সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সুসম্পর্ক এবং যোগাযোগ রয়েছে।রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরেক ত্রাস মাস্টার মুন্নাকে নবী হোসেন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড জানিয়ে দেশে ৫০ ভাগের বেশি মাদক তাদের হাত ধরে ঢুকছে বলেও জানান তিনি।

রোহিঙ্গাদের একাধিক সূত্র তথ্য দিয়ে বলছে, একদিকে মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে, অন্যদিকে ক্যাম্পের সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পকে অশান্ত করে রাখছে। বিশেষ করে কথিত আরসা এবং নবী হোসেন বাহিনীকে সরাসরি অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দুই গ্রুপের মধ্যে খুনাখুনির মাধ্যমে ক্যাম্পকে অশান্ত করে রাখা এবং রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরা, মিয়ানমার সরকারের প্রধান টার্গেট। কিছু রোহিঙ্গাকে গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ কারণে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা কোনো বাধা ছাড়াই মিয়ানমারে আসা যাওয়া করতে পারে। একই তথ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দিনদুপুরে ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে ২০১৮ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন নবী হোসেন। তিনি রোহিঙ্গাদের কাছে ‘মাস্টার নবী হোসেন’ বলেও পরিচিত। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নবী হোসেন বাহিনীর হাতে ৫ শতাধিক অস্ত্র ছিল। এখন তা বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে। দেশীয় অস্ত্রগুলো পাহাড়ি এলাকায় নিজস্ব কারখানায় বানানো হয়েছে। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও অস্ত্র এসেছে।

রোহিঙ্গাদের একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে নবী হোসেনের অধীনে সহস্রাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্য রয়েছে। তাদের ভিন্ন ভিন্ন দলে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এসব সদস্যদের প্রত্যেককে মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন দেয় নবী হোসেন। এ ছাড়া নিয়মিত মাদক চালানের কমিশনও পায় বাহিনীর সদস্যরা। ইয়াবা পাচারের মাধ্যমে এ টাকার যোগান দেন নবী।

অন্যদিকে রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য দাবি করা সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টার্গেট করে রোহিঙ্গা নেতা ও ব্লকের মাঝিদের হত্যা করছে। জনপ্রিয় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাকেও তারা হত্যা করে। সম্প্রতি সীমান্তে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের সাথে এই আরসা সরাসরি জড়িত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কথিত আরসার আমির দাবি করা আতা উল্লাহ জুনুনিসহ আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও ক্যাম্পে ইয়াবা ব্যবসা অপহরণসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত আরসা নামধারী সন্ত্রাসীরা। নবী হোসেন গ্রুপ ও আরসার আধিপত্য বিস্তারে প্রতিদিন গোলাগুলি এবং গুম, খুনের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয়রাও।

সাধারণ রোহিঙ্গারা বলছেন, আরসা নামধারীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের বিরোধীতাকারীদের যেভাবে যেখানে পাচ্ছে হত্যা করছে। অন্যদিকে নবী হোসেন বাহিনীও ভয়-ভীতি দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এতে করে ক্যাম্পে গোলাগুলি ও খুনের ঘটনা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া তথ্যমতে, চার মাসে উখিয়ার একাধিক আশ্রয়শিবিরে আরসার সঙ্গে নবী হোসেন বাহিনীর একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৩ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১০ রোহিঙ্গা মাঝি ও পাঁচজন আরসার সদস্য। বাকিরা সাধারণ রোহিঙ্গা। নিহত মাঝিরা নবী হোসেন গ্রুপের সমর্থক। এ ছাড়াও গেল চার মাসে শুধু উখিয়া থেকে ৩৭ জনকে অপহরণ করা হয়। এর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাকিরা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন। অপহরণের শিকারের হওয়া ১৭ জন রোহিঙ্গা ও ২০ জন স্থানীয়।

এ বিষয়ে ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ফারুক আহমেদ একুশে পত্রিকা বলেন, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের চরম শত্রুভাবাপন্ন গ্রুপগুলো আধিপত্য বিস্তারের জন্য একে অপরের উপর পারস্পরিক হামলায় ক্যাম্পে খুন অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে। আমরা ৮ এপিবিএন পুলিশ সবসময় কঠোরভাবে এসব সন্ত্রাসীদের দমন করেছি, আইনের আওতায় আনছি। প্রতিদিন ক্যাম্পে ইনটেনসিভ প্যাট্রোলিং ও ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে।

নবী হোসেনের গ্রেনেড ও অস্ত্র মজুদের স্থানটি ক্যাম্পের বাইরে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি গ্রেনেড উদ্ধারের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেনেডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর আছে বলে উল্লেখ করেন ৮ এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

নবী হোসেনের আস্তানায় গ্রেনেড ও অস্ত্র ভাণ্ডারের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার-৩৪ ও টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, তোতার দ্বীয়া দুই দেশের অংশ হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের কারণে ইচ্ছে করলেও অভিযান করতে পারচ্ছে না বিজিবি। তবে, নবী হোসেন ও অন্যন্য সন্ত্রাসীদের বিষয় কাজ করছে বিজিবি। সীমান্তে কঠোর অবস্থানের কথা জানান বিজিবির দুই অধিনায়ক।

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গারা ও ওই জনগোষ্ঠী সন্ত্রাসীরা স্থানীয় এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। সন্ত্রাসী নবী হোসেন বাহিনী বা আরসা নামধারী সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা বেশে এ দেশে আশ্রয় নিয়েছে।কিন্তু তারা মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাই তাদের গ্রেনেড, অস্ত্র দিয়ে স্বাভাবিকভাবে সহযোগিতা করবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তা ছাড়া আমাদের দেশের যারা ভালো চায়না সেসব দেশগুলো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চাইবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রথম থেকে বলে এসেছি, পররাষ্ট্র নীতি ও কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সংকট কখনো সমাধান করা সম্ভব নয়। যেভাবে রোহিঙ্গারা এ দেশে ঢুকে ঠিক সেভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে। তাহলে চিন বা অন্য রাষ্ট্র এগিয়ে এসে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন বাহিনী ও আরসাকে গ্রেনেড ও অস্ত্র সহযোগিতার অভিযোগসহ সব বিষয় উল্লেখ করে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ বেনজীর আহমদ বলেন, যেহেতু সীমান্তবর্তী এলাকা তাই এমন অনেক ঘটনা হতেও পারে। আমরা ইতিমধ্যে সীমান্তের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছি। এবার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকার চিন্তিত হলেও শান্তিপূর্ণভাবে কূটনৈতিক সমাধানে সরকারের বিশ্বাস রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।