রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভুয়া ডিগ্রি।। আশরাফুল ইসলাম সজীবের জামিন না মঞ্জুর

প্রকাশিতঃ ২৯ মে ২০১৭ | ৮:৫০ অপরাহ্ন

চট্টগ্রাম : ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় খুলে ভুয়া ডিগ্রি দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার মামলায় সুচিন্তা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের সাবেক সমন্বয়কারী আশরাফুল ইসলাম সজীবের জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার দুপুরে আসামীর পক্ষের করা জামিন আবেদন শুনানী শেষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন চৌধুরীর আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি প্রতারণার মামলায় আত্মসমর্পণ করলে আশরাফুল আলম সজীবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন একই আদালত।

সোমবার জামিন শুনানিকালে আসামীপক্ষে অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। বাদিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুসেন কান্তি দাশ।

নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ভুক্তভোগী মোসলেহ উদ্দিন ভুঁইয়া গত বছর ২১ এপ্রিল আশরাফুল ইসলাম সজীবের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি সুইজারল্যান্ডের ডিগ্রি পাওয়ার উদ্দেশ্যে কিংস্টোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি বিবিএ সম্পন্ন করার পর বাদিকে আশরাফ স্বাক্ষরিত একটি সার্টিফিকেট দেন। ওই সার্টিফিকেটে আশরাফ বিশ্ববিদ্যালয়টি চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাক্ষর করেন। ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কারো স্বাক্ষর না থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্ত এ ব্যাপারে কোনো উত্তর দেননি। বাদিকে উল্টো ছাত্রত্ব বাতিল করার হুমকি দেন। এরপর গত বছর ১৪ মার্চ দুই লাখ টাকা বকেয়া থাকার কথা উল্লেখ করে ৫ দিনের মধ্যে তা পরিশোধের জন্য মোসলেহ উদ্দিন ভুঁইয়াকে নোটিশ দেন। নোটিশের উত্তর দেয়ার পর মোসলেহ উদ্দিনও তার সার্টিফিকেট দাবি করে আশরাফকে লিগ্যাল নোটিস দেন।

এরপর সিএমএম আদালতে আশরাফের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪২৬, ৪২২ ও ৫০৬ ধারার অভিযোগে মামলাটি করেন। এরপর বিষয়টি তদন্ত করার জন্য পাঁচলাইশ থানাকে নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই মো. হাছান আলী চলতি বছর ২ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে প্রতারণার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আসামি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আসামি কিংস্টোন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ারম্যান পরিচয়ে বহু শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট করেছেন।