সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

৩১ মে থেকে বন্ধ হচ্ছে সুনামগঞ্জের তিন শুল্ক বন্দর

প্রকাশিতঃ ১৬ মে ২০১৭ | ১১:৪৪ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার তিন শুল্ক বন্দর (বড়ছড়া-চারাগাও-বাগলী) কয়লা আমদানি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যা সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম ভাণ্ডার।

ভারতের অভ্যন্তরীণ কারণে আগামী ৩১ মে থেকে এই তিন বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে বেকার হয়ে পড়বে ৮ শতাধিক আমদানিকারক ও বন্দর সংশ্লিষ্ট অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক। কবে নাগাদ আমদানি কার্যক্রম চালু হবে তা সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না।
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ও কোষাধ্যক্ষ জাহের আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘হাসান কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ এর সভাপতি শামছুল আলম আখঞ্জি, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমদ কবির ও সাধারণ সম্পাদক সাহাজ উদ্দিন সাজন এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; তারা বলেন, এমনিতেই হাওরের ফসলডুবির কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে হাহাকার, অন্যদিকে বন্দরগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এতে করে বন্দর সংশ্লিষ্ট শ্রমিক পরিবারে নতুন করে নেমে আসবে ঘোর অন্ধকার। বিষয়টি এখন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভারতের ন্যাশনলাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) নামক একটি পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বিপর্যয়জনিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৪ মে ভারতীয় আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর ১৬ মে থেকে কয়লা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে এই তিনটি বন্দরসহ সিলেটের দুুটি বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর ২০১৫ সালের ১০ ও ১১ জানুয়ারি দুই দিন কয়লা রফতানি করে আবার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে একই বছরের ১৫ এপ্রিল চালুর পর ১লা জুলাই থেকে ৩য় বারের মতো বন্ধ হয়ে যায় বন্দর তিনটির কার্যক্রম। পরে ২০১৬ সালের প্রথম মাসে চালুর পর ১৫ মে ফের বন্ধ হয়ে যায় আমদানি কার্যক্রম।

সর্বশেষ আদালত কর্তৃক ৬ মাস সময়সীমার জন্য আমদানির উপর আদেশ দিলে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় আমদানি কার্যক্রম। নির্দিষ্ট সময়সীমা আগামী ৩১ মে শেষ হবে।