সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

পূবালী ব্যাংকের সেই ৫০ লাখ টাকা পুলিশ নাকি ব্যাংক কর্মকর্তার পকেটে!

প্রকাশিতঃ ৮ মে ২০১৭ | ১:০৮ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম : পূবালী ব্যাংকের ‘খোয়া’ যাওয়া সেই ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা এখনো উদ্ধার হয়নি। ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পুবালী ব্যাংক, চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড শাখার সামনে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার একবছর পার হয়েছে। ঘটনার পর অভিযোগ উঠে, পাঁচ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ টাকা দাবি করেছিল। এমনকি খোয়া যাওয়া টাকা পুলিশ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয়েছিল এমন অভিযোগও ছিল। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবর্তন হয় তদন্ত কর্মকর্তা। এভাবে টাকা উদ্ধারে পুলিশের ব্যর্থতার পর বর্তমানে মামলাটির তদন্তভার পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার তদন্ত কোন পর্যায়ে? তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক চট্টগ্রামের সহকারি পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কেউ না কেউ জড়িত। কে জড়িত সেটা শণাক্ত করা গেলে পরবর্তীতে কারা জড়িত ছিল তা বের করা সম্ভব। কিন্তু গ্রেফতারকৃত আসামিদের কেউই সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। ফলে তদন্ত কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে ডেকে এনে আমি জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, তারা প্রত্যেকেই বলছে, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।’

তিনি আরও বলেন, ১৬৪ ধারায় চারজন হুবহু একই জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার জন্য চালক বিজয়কে দায়ী করে। ওই চারজনের কথায় মনে হবে যে তাদের দলনেতা ছিল একজন ড্রাইভার। অথচ বিষয়টা সেরকম ছিল না। এখন ওই চারজন আবার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে আদালতকে বলেছে, এ স্বীকারোক্তি দিতে পুলিশ তাদের বাধ্য করেছে। খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিতে পারবো।’

এদিকে পূবালী ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকা খোয়া যাওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মামলায় গ্রেফতার হওয়া পূবালী ব্যাংক সিডিএ করপোরেট শাখার জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) রাজিবুর রহমান, নিরাপত্তাকর্মী আশিকুর রহমান, তানজুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম ও গাড়িচালক বিজয় কুমার দাশ ঘটনায় জড়িত। অবশ্য গাড়িচালক বিজয় ছাড়া বাকি চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ, ব্যাংক কর্মকর্তা, ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানী, অভিযুক্ত ও তাদের স্বজন এবং দুদক কর্মকর্তার সাথে একুশে পত্রিকা কথা বলেছে এ নিয়ে।

কী ঘটেছিল সেদিন?

গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে পূবালী ব্যাংকের শেখ মুজিব রোড শাখা থেকে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে ৩ নিরাপত্তাকর্মী ও গাড়ি চালককে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে সীতাকুণ্ড শাখায় যান ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান। এরপর পূবালী ব্যাংক সীতাকুণ্ড শাখার সামনে মাইক্রোবাসে সিকিউরিটি গার্ড তানজুর রহমান অবস্থান করছিলেন। গাড়ি চালক বিজয় দাশসহ অন্য অভিযুক্তরা গাড়ির পেছনের সিটে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বস্তাটি রেখে দুপুর ১২টা ৩৩ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে ব্যাংকের ভেতরে ঢোকেন। এরপর ভেতরে তারা ৩৪ মিনিট অবস্থান করে ৮০ লাখ টাকার বস্তা নিয়ে ১টা ৭ মিনিটে পুনরায় গাড়িতে ফিরে আসেন। এ দৃশ্য ব্যাংকের ভিডিও ফুটেজেও দেখা গেছে।

ব্যাংকের ভেতরে বিজয় দাশসহ তিন অভিযুক্ত ৩৪ মিনিট অবস্থান করে ৮০ লাখ টাকার বস্তাটি নিয়ে বেরিয়ে আসেন। এরপর মাইক্রোবাসের পিছনের সিটে ৮০ লাখ টাকার বস্তাটি রেখে নগরের সিডিএ করপোরেট শাখার উদ্দেশে রওনা দেন তারা। কিছুদূর যাওয়ার পর গাড়ির পেছনের ডালা খোলা দেখতে পান চালক বিজয়। এরপর গাড়ি থামিয়ে পেছনে রাখা ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকাভর্তি বস্তাটি খুঁজে পাননি তারা। এখন প্রশ্ন হলো- গাড়ির পিছনের সিটে আগে থেকে রাখা ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বস্তাটি অভিযুক্তরা দেখতে পাননি কেন।

নিরাপত্তাকর্মী তানজুরের কর্মকান্ডে অস্বাভাবিকতা

ঘটনার দিন তিন অভিযুক্ত যতক্ষণ পূবালী ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখার ভেতরে অবস্থান করছিলেন ঐ সময় মাইক্রোবাসের পাশে থাকা নিরাপত্তাকর্মী তানজুর রহমান কথা বলেছেন অজ্ঞাত তিন ব্যক্তির সাথে। এ দৃশ্য কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর নজরে আসার পাশাপাশি ঘটনাস্থলের পাশের আপন রেস্তোরাঁর সিসিটিভিতেও ধরা পড়েছিল। এছাড়া নিরাপত্তাকর্মী তানজুরের হাতে ঘটনার দিন দুটি মোবাইল ছিল। ঘটনার পর তাকেসহ অন্যান্যদের ব্যাংকের ভেতর আটক রাখার সময় তার হাতে ছিল একটি মোবাইল।

এ প্রসঙ্গে আরেক অভিযুক্ত গাড়ি চালক বিজয় কুমার দাশ বলেন, ‘তানজুরের হাতে আরেকটি মোবাইল না থাকার বিষয়টি শাখার ম্যানেজারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম সেদিন। সে কার হাতে ওই মোবাইলটি দিয়ে দিল এবং ঐ মোবাইল দিয়ে সে কার কার সাথে কথা বলেছে সেটা তদন্ত হওয়া উচিত। ওই মোবাইলটি জব্দ করে সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা তো বেরিয়ে আসবে।’

পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ড

ঘটনার দিন নিরাপত্তাকর্মী তানজুর রহমানের দায়িত্বপালনের কথা ছিল না। সেদিন দায়িত্ব ছিল সাহাবুদ্দিন নামের এক নিরাপত্তকর্মীর। ছুটি শেষে যশোর থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তানজুর। সাধারণত শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকায় আগে থেকে ছুটিতে থাকা কেউ বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেন না। ‘ডিউটি রোস্টারে’ পরিবর্তন এনে তানজুরকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ব্যাংকের চীফ ক্যাশিয়ার আবুল কাশেম।

এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী গাড়িতে টাকা রাখার জন্য ‘লকার ট্যাংক’ রাখতে হয়; এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়টি তদারকির দায়িত্বে থাকেন। ঘটনার দিন ওই মাইক্রোবাসে লকার ট্যাংক রাখা হয়নি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষি সীতাকুণ্ড শাখার ম্যানেজার মামলার বাদি হননি। মামলাটি করেন নগরের সিডিএ কর্পোরেট শাখার এজিএম তৌহিদুর রহমান। অতিউৎসাহী হয়ে নগরের এ কর্মকর্তা কেন বাদি হলেন? সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজের সাথে ঘটনার পর দায়েরকৃত এজাহারের অমিল কেন?- এ নিয়েও প্রশ্ন আছে।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, ‘টাকা আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ব্যাংক থানা পুলিশের সহযোগিতা নেয়। কিন্তু ঘটনার দিন টাকা পরিবহনের ক্ষেত্রে পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়নি।’
< strong>ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজের সাথে এজাহারের মিল নেই

পূবালী ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখার ওই দিনের ভিডিও ফুটেজ আছে একুশে পত্রিকার কাছে। ওই ভিডিও ফুটেজের সাথে বাদির এজাহারে বর্ণিত ঘটনার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। এজাহারে যে সময়ের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া তানজুর রহমান ছাড়া বাকি চারজন ছিল ব্যাংকের ভেতরে।

ফুটেজে দেখা গেছে, ১১ ফেব্রুয়ারি ১২টা ৩২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে নিরাপত্তাকর্মী আশিকুর রহমান, ১২টা ৩২ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে ক্যাশিয়ার রাজিবুর রহমান, ১২টা ৩৩ মিনিট ০১ সেকেন্ডে নিরাপত্তাকর্মী মাজহারুল ইসলাম ও ১২টা ৩৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে চালক বিজয় কুমার দাশ ব্যাংকে প্রবেশ করেন। ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী পরপর চারজনই গাড়ি রেখে ব্যাংকে উঠে যান। গাড়িতে ছিলেন শুধুমাত্র নিরাপত্তাকর্মী তানজুর রহমান।

অথচ এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পূবালী ব্যাংকের সামনে সীতাকুণ্ড বাজারে রাস্তার উপর জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) মো. রাজিবুর রহমান সঙ্গীয় গার্ড মো. তানজুর রহমান ও মো. মাজহারুল ইসলাম এবং চালক বিজয় কুমার দাশকে বর্ণিত গাড়ির পিছনের সিটে থাকা ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাহারায় রেখে তার অপর সঙ্গীয় গার্ড আশিকুর রহমানকে নিয়ে সীতাকুণ্ড শাখায় টাকা গ্রহণ করার জন্য উঠে।’

মামলা দায়েরের পূর্বে ব্যাংকের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখেননি জানিয়ে বাদি পূবালী ব্যাংকের সিডিএ করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ জব্দ করা ও সে অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করা পুলিশের কাজ।’

অপেশাদার ও রহস্যজনক ভূমিকা পুলিশের

পূবালী ব্যাংকের টাকা উদ্ধার নিয়ে শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক, তৎপরতা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে রিমাণ্ডে নিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের।

গণমাধ্যমে খবর এসেছে, মামলা তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার দিন রাতেই ‘খোয়া যাওয়া’ ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘটনাস্থলের পাশের একটি ফার্মেসি থেকে উদ্ধার করেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিয়াদ মাহমুদ। এরপর ২০ লাখ টাকা পুলিশ ও ৩০ লাখ টাকা ব্যাংকের উর্ধ্বতন কিছু কর্মকর্তা যোগসাজশ করে আত্মসাৎ করেছেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নষ্টের অভিযোগও উঠে রিয়াদ মাহমুদের বিরুদ্ধে। এমন গুরুতর অভিযোগ উঠার পর রিয়াদ মাহমুদকে সরিয়ে এসআই কামাল উদ্দিনকে তদন্তভার দেওয়া হয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। রিয়াদ মাহমুদ ছুটিতে যাওয়ায় কামাল উদ্দিনকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সময় পূবালী ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখার আশপাশে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। পূবালী ব্যাংকের সীতাকুণ্ড শাখার পাশের ‘আপন রেস্তোরাঁ’, সীতাকুণ্ড বাজার কমিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরার সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে সীতাকুন্ডের পৌর এলাকা।

অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, আপন রেঁস্তোরার ক্যামেরা ও ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ কাগজে-কলমে জব্দ করা হয়নি। অভিযুক্তদের মোবাইলগুলো জব্দ করেনি পুলিশ। এছাড়া সীতাকুণ্ড থানা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব ২০০ গজ। টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল দুপুর ১২টার দিকে। অথচ মামলা রেকর্ড হয়েছে রাত ৮টায়। এ অবস্থায় খোয়া যাওয়া অর্ধ কোটি টাকা উদ্ধারে পুলিশের ব্যর্থতাকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে এ ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত ও অপেশাদার আচরণ করেন মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ড থানার এসআই কামাল উদ্দিন। অভিযোগ উঠে, এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বজনদের কাছে ‘ঘুষ’ দাবি করেন এসআই কামাল।

একুশে পত্রিকার হাতে চালক বিজয়ের ভাই অজয়ের মোবাইল ফোনের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনের ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের তালিকা আছে। ওই তালিকায় সেসময় পুলিশের হেফাজতে থাকা চালক বিজয়ের মোবাইল নম্বর থেকে তার ভাই অজয়ের নম্বরে একাধিক কল আসা এবং দীর্ঘক্ষণ কথোপকথনের প্রমাণও পাওয়া যায়।

অভিযুক্ত চারজনের স্বীকারোক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি

ঘটনার পরপর সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হাসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মাইক্রোবাসের পেছনের ‘ব্যাক ডালা’ খুলে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বস্তা বের করা সম্ভব নয়। অভিযুক্তদের কেউ না কেউ পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এদিকে ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন নিরাপত্তাকর্মী তানজুর রহমানসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তিতে অভিন্ন বক্তব্য দিয়ে তারা চালক বিজয়কে ঘটনার জন্য দায়ী করে জানিয়েছেন, চালক বিজয়ের কথা মত তারা প্রথমে সীতাকুণ্ড শাখায় না গিয়ে পূবালী ব্যাংকের শেখ মুজিব রোড শাখা থেকে ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেন। অবশ্য পরে তারা স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে আদালতে জানান, পুলিশ জোর করে এ স্বীকারোক্তি নিয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তারা কেউই কিছুই জানেন না।

মামলার বাদি পূবালী ব্যাংকের সিডিএ করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত এখন কোন পর্যায়ে আছে জানি না। দুদকের কর্মকর্তার সাথে কথা হয়নি। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের মধ্যে চারজন স্বীকারোক্তি দিয়ে আবার প্রত্যাহার চাচ্ছেন কেন, সেটা আমি বলতে পারবো না। এ বিষয়ে এখন যা যা করণীয় তা আদালত ও পুলিশ করবে।’