ঢাকা : ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রতিটি কাজ নজরদারির আওতায় থাকে বলে জানিয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শাহ আলম।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত (সিসিএ ফাউন্ডেশন) ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাইবার সচেতনতার গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম।
শাহ আলমকে উদ্ধৃত করে সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইন্টারনেট পুরোপুরি উন্মুক্ত জগৎ। এখানে ব্যবহারকারীর প্রতিটা কাজ নজরদারির আওতায় থাকে। অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।’
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা তৈরিতে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে ক্ষতিকর দিকগুলোর বিষয়ে যুব সমাজকে সচেতন করতে হবে। সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে পারিবারিকভাবে মূল্যবোধ তৈরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজের প্রত্যেক স্তরে যত বেশি আলোচনা করা যাবে তত সহিংস উগ্রবাদের বিস্তার ঠেকানো সহজ হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, গত ২০ বছরে সংগঠিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সহিংস উগ্রবাদ অন্যতম সমস্যা। শুধু পুলিশিংয়ের মাধ্যমে এটা ঠেকানো সম্ভব নয়। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সামাজিক সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সিসিএ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আরিফ সোহেলের সভাপতিত্বে ও সংগঠনটির সভাপতি কাজী মুস্তাফিজের সঞ্চালনায় সভায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম-মহাসচিব শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী এবং বেসরকারি সংস্থা আপন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এম আফতাবুজ্জামান বক্তব্য দেন।