সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

চট্টগ্রামে নামীদামী হোটেলে ‘যৌনতা বিকিকিনি’ নিয়ন্ত্রণে ৬ নারী!

প্রকাশিতঃ ২৭ অগাস্ট ২০২১ | ২:০৪ অপরাহ্ন

মোহাম্মদ রফিক : ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও আছে মৌ, পিয়াসা কিংবা পাপিয়াদের মতো অন্ধকার জগত। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে তারা চালিয়ে যাচ্ছে নানা অনৈতিক র্কমকা-। তাদের আসরে যোগ দেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। অভিযোগ আছে, এসব রঙ্গশালার মদদে আছে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও পুলিশের কিছু অসাধু র্কমর্কতা। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে এসব ‘পাপিয়ারা’ অপ্রতিরোধ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ডিজে পার্টি, মঞ্চনাটক, মডেলিং, ফ্যাশন শো, অভিনয়ের আড়ালে চলছে এসব অপকর্ম। এ চক্রের মূলে আছে ‘মো, ‘সা’ ‘সু’, ‘নী’ ‘সুস্মি’, এবং ‘নিলু’ আদ্যাক্ষরের ছয় নারী। অন্ধকার জগতের এই ছয় নারীর পৃথক পৃথক চক্রে আছে কমপক্ষে ৯০ জন ‘রাণী’।

এছাড়া ‘ম’ আদ্যাক্ষের চট্টগ্রামের একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের এক নেত্রী এবং জেলা মহিলা লীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের কাছে সুন্দরী নারী সরবরাহের তথ্য আছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে। সম্প্রতি ঢাকায় পাপিয়া-কা-ের পর আলোচনায় আসেন চট্টগ্রামের এই দুই নেত্রীও।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে, চট্টগ্রামে অন্ধকার জগতের অন্যান্য পাপিয়ারা হলেন-পাঁচলাইশ থানা এলাকার শাহনাজ দিদি, হালিশহর থানার কথিত ‘ক্যাশিয়ার’ শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ডন মীনা, বন্দর থানা এলাকার রোজিনা আকতার ও তার স্বামী মোবাইল সোহেল, চকবাজার এলাকার খালপাড় এলাকার মাইকেল নাসরিন, আকবরশাহ থানা এলাকার মনি, কোরবানিগঞ্জে চাঁদপুরের সুমা ভাবী, ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকার রানী আকতার, নাজমা বেগম প্রমুখ।

এসব নারীর নেতৃত্বে নগরের নামীদামী হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্পটে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। আলিশান বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে চলে ডিজে পার্টির আড়ালে রাতভর মদ-জুয়া ও নাচ-গানের আসর। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েরাও ঝুঁকছে নিষিদ্ধ জগতে। নগরে এই ছয় নারী মধ্যস্থতাকারীর (ব্রোকার) নিরাপত্তাবেষ্টিত পরিবেশে অবাধ মেলামেশার হাতছানি একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী মেয়েদের ‘পার্টটাইমার’ বা ‘ফুলটাইমার’ হিসেবে নিষিদ্ধ পথে ধাবিত করছে। বিলাসী জীবনের আশায় নবম-দশম শ্রেণির ছাত্রীও ভিড়ছে এই দলে। অভাবের তাড়নায়ও অনেকে প্রবেশ করছে এই জগতে। একুশে পত্রকিার র্দীঘ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে নানা কৌশলে ব্যক্তিগত বা সিন্ডিকেটভিত্তিক আয়োজনে অনেক আগে থেকেই যৌনতাকে নিরাপদ ও উচ্চাভিলাষী জীবিকায় পরিণত করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও এলাকার মাস্তানদের ‘ম্যানেজ’ করে। গত ৫ বছর ধরে এ জগতে যুক্ত হয়েছে স্কুল-কলজে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ্রেণির ছাত্রী। যাদের মধ্যে আছে বহু সভ্রান্ত পরিবারের মেয়েও। আর এসব মেয়েদের জন্য জগতটাকে জীবিকা হিসেবে হাজির করতে পুরো শহরে ভুমকিা রাখছেন ওই ছয় নারী মধ্যস্থতাকারী। আর তা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও হোটেল কর্তৃপক্ষকে তারা হাতে রাখছেন মাসোহারা ও মোটা অংকের হোটেল বিল পরিশোধের বিনিময়ে।

অনুসন্ধান বলছে, নগরের ফাইভ স্টার হোটেলসহ নামীদামী বিভিন্ন আবাসিক হোটেলকেন্দ্রিক যৌনতা ‘বিকিকিনি’ করেন ওই ছয় নারী। নগরের প্রায়সব হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে আছে তাদের ‘আঁতাত’। শুধু চট্টগ্রাম নয়, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটতে বসবাসকারী ‘সা’ আদ্যাক্ষরের, হালিশহরে বসবাসকারী ‘নিলু’ এবং মেহেদীবাগে বিউটি পার্লার পরিচালনাকারী এই তিন নারীর কক্সবাজার, ঢাকাসহ দেশের যে কোনও শহরে এমনকি মালয়েশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাতেও রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। অভিনয়, মডেলিং দেশিয় চলচ্চিত্রের কতিপয় তারকাকেও চাহিদামতো হাজির করার সক্ষমতা রাখেন, গ্রাহকদের কাছে এমনই দাবি করেন তারা। এক্ষেত্রে এক রাতের জন্য ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা র্পযন্ত দর হাঁকা হয়।

জানা গেছে, একশ্রেণির শিল্পপতি, শিল্পপতির সন্তান, রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত কিংবা যেনতেনভাবে অঢেল টাকার মালিক বনে যাওয়া বিকৃত রুচির লোকগুলোই এদের ‘গ্রাহক’।

সূত্র জানায়, আর্থিক সঙ্গতিপূর্ণ গ্রাহকদের কাছে উক্ত তিন নারী ব্রোকার নির্ভরযোগ্য ঠিকানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপও খুলেছেন তারা। সেখানে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে উপস্থাপন, মঞ্চনাটক, ফ্যাশন শো বা মডেলিংয়ে আগ্রহীদের ভেড়ানো হয়। পরে নানা কৌশলে তাদের নিয়ে আসা হয় অন্ধকার জগতে। হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে চাহিদার কথা জানালেই ‘সা’, ‘সু’ আদ্যাক্ষরের দুই ব্রোকার এবং নিলু ১০-১৫ জনের ছবি পাঠান সংশ্লিষ্ট ‘খদ্দেরের’ কাছে, যাদের বয়স ১৩ থেকে ৩৫। এদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের তালিকায় আছে গৃহবধূ, স্বামী পরত্যিক্তা নারী, প্রবাসীর স্ত্রীও। যারা সপ্তাহান্তে ২-৩ দিন মিলিত হওয়ার বিনিময়ে স্বচ্ছল ও বিলাসী জীবনযাপন করছেন।

হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো ছবি থেকে পছন্দ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ‘গ্রাহকের’ সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন ওই তিন নারী। তাৎক্ষণিকভাবে পছন্দের নারীকে জোগাড় করতে না পারলে ফিরতি ফোনে ‘গ্রাহককে’ তারা আশ্বস্ত করেন এই বলে, ‘অসুবিধা নেই এরচেয়েও ভালো ‘জিনিস’ আপনাকে দিচ্ছি, আমি নিশ্চিত আপনি মজা পাবেন।’ এসময় গ্রাহকের কাছে ওই নারীর শরীরের বিশেষ অঙ্গের প্রশংসা শোনান। এরপর তাৎক্ষণিক যে হোটেলের সাথে কন্টাক্ট করা যায় সেই হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার আগে যৌনসঙ্গম প্রত্যাশী ব্যক্তিকে হোটেলের নাম জানিয়ে দিয়ে তাদের রেফারেন্সে হোটেলের নির্দিষ্ট কক্ষে অবস্থান করতে বলা হয়। কথামতো হোটেলে গিয়ে অবস্থান করলে ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই হাজির হন কাক্সিক্ষতজন। ঢুকেই বিদেশি স্টাইলে ‘হাই…’, ‘হ্যালো..,, ডার্লিং-এ জাতীয় শব্দবানে ‘গ্রাহককে’ উসকে দেওয়ার কাজটিও করেন সন্তর্পণে।

জানা যায়, কোনো কোনো গ্রাহক নিজেই প্রত্যাশিত নারীকে তার পছন্দের হোটেলে নিয়ে যান, কেউ কেউ পরিচিতজনদের ফাঁকা বাসাবাড়িতেও নিয়ে যান। আবার কেউ পছন্দের নারীকে তাদের (সা, সু, নিলু) দেওয়া লোকেশন থেকে গাড়িতে করে তুলে আনেন এবং এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় কাটানোর পর কখনো কখনো গন্তব্যে পৌঁছে দেন।

জানা গেছে, গ্রাহক নগরের যে হোটেলে সময় কাটাতে চান, সেই হোটেলেই ব্যবস্থা করতে পারেন তারা। এক্ষেত্রে অভিজাত বা ফাইভস্টার হোটেলে হলে এক রেট, নরমাল হোটেল হলে অন্য রেট। ২ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হোটেল বিল পরিশোধ করতে হয় গ্রাহককে। এর বাইরে ৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত চার্জ গুণতে হয়। আর সেই টাকা পরিশোধ করতে হয় ব্রোকারদের কাছে। তারা মধ্যস্থতার অর্থ কেটে রেখে ‘যৌনসঙ্গ’ দেওয়া নারীকে দেন বাকি টাকা। মধ্যস্থতা করে ক্ষেত্রবিশেষে অর্ধেক টাকা কিংবা তারও বেশি রেখে দেন ‘সা’ আদ্যাক্ষরের সরবরাহকারী, যিনি চট্টগ্রামের এক সাবেক এক এমপির ভাগনী পরিচয় দেন।

‘সা’ আদ্যাক্ষরের নিয়মিত কয়েকজন গ্রাহক নাম প্রকাশ না করার শর্তে একুশে পত্রিকাকে জানান, মোটামুটি আবেদন আছে এমন নারীর সঙ্গে ‘যৌনসঙ্গমের’ জন্য ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা গুণতে হয়। এক্ষেত্রে যৌনসঙ্গ দেওয়া মেয়েকে ৫-৬ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এর বাইরে হোটেলভাড়া গুণতে হয় গ্রাহককেই। জানা যায়, এভাবেই গত ৭ বছরে প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন ওই ব্রোকার।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, নগরের খুলশী থানার পাশেই ৫নং রোডের একটি অভিজাত বাড়িতে ডিজে পার্টির আড়ালে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এর নেপথ্যে আছে ‘দ’ আদ্যাক্ষরে স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। একইভাবে পাঁচলাইশ থানার অদূরেই ৬ নং রোডের একটি বাড়িতে আছে মীম ও তার স্বামীর অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানা। স্বামী কামরুজ্জামান নিজেকে চাঁদপুর জেলার এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয় পরচিয় দেন। তাদের অসামাজিক র্কমকা- থেকে আয়ের একটি অংশ একশ্রেণির পুলিশের পকেটে যায় বলেও তথ্য আছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের মেহেদীবাগে একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশে ‘সু’ আদ্যাক্ষরের নারীর রয়েছে বিউটি পার্লার। ‘নী’ আদ্যাক্ষের নারীর গ্রামের বাড়ি পটিয়ায়। তিনি একজন সংগীতশিল্পী। ‘নিলু’ থাকেন নগরের হালিশহরে। তিনি নিজেকে একজন ‘মহিলা উদ্যোক্তা’ বলে পরিচয় দেন। এ সংক্রান্ত তার একটি ফেসবুক পেইজও আছে। ‘পু’ আদ্যাক্ষের নারীটি একজন মডেল। মডেলিংয়ের আড়ালে নগরের বিভিন্ন নামীদামী হোটেলে নারী সাপ্লাই করেন। ‘ই’ আদ্যাক্ষের নারী একজন ‘ইভেন্ট’ উপস্থাপিকা। ‘না’ আদ্যাক্ষের নারী একজন মঞ্চনাটক ও টিভি অভিনেত্রী। তিনি বিবাহিত। তার একটি সন্তান আছে। তার কাজ হচ্ছে পরকীয়া করে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।

সম্প্রতি, নগর পুলিশের এক সদস্যের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন ‘রি’ আদ্যাক্ষের এক নারী মডেল। এই চক্রের সবাই মোটা অংকের বিনিময়ে খদ্দেরসহ সুন্দরী নারীকে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেন বলে অভিযোগ আছে।

চট্টগ্রাম নগরে ডিজে পার্টি, ফ্যাশন শো, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, মডেলিং এর আড়ালে এ নামীদামী হোটেলে কিংবা হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের নারী সরবরাহ দেন, এমন চক্রের কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক। সিএমপির এ কর্মকর্তা একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার কারণে কমবেশি সবকিছু বন্ধই আছে। তারপরেও এ ধরনের কোনো তথ্য-উপাত্ত বা অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানতে চাইলে এ বিষয়ে কিছু জানা নেই জানিয়ে উল্টো একুশে পত্রিকার কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চান সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তো জানা নাই। এরকম তথ্য থাকলে কাইন্ডলি আমাকে দেন ভাই। এক্ষেত্রে কারো লাইসেন্স আছে কিনা সেটা একটা বিষয়। তারা কী ধরনের প্রোগ্রাম করে, তারপর তথ্য সংগ্রহের ব্যাপার আছে। হুট করে তো অপারেশন চালানো যায় না।’

ইভেন্ট ম্যনেজমেন্ট বা নারী উদ্যোক্তার বেশে নগরের নামীদামী হোটেলে পর্যটকদের জন্য ‘বিনোদনের’ ব্যবস্থা হিসেবে নারী সরবরাহকারী কোনও চক্রের তথ্য পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নামীদামী হোটেলে নারী সাপ্লাইয়ের বিষয়টি আমার কানে আসেনি। যেগুলো কানে এসেছে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট নারী ও পুরুষদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হয়েছে।’ মাঠপর্যায়ে কাজ করা গোয়েন্দা পুলিশ বা সিএমপির কিছু কর্মকর্তার সাথে নামীদামী হোটেল মালিক এবং নারী সাপ্লাই চক্রের গোপন লেনদেন বা যোগাযোগ আছে, যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় না। এমন অভিযোগ নাকচ করে দেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সামসুল আলম।

তিনি বলেন, ‘না, এরকম না। গোয়েন্দারা তথ্য পান বলেই তো আমরা অভিযানে যাচ্ছি। আটক হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। জেলে যাচ্ছে।