ভিয়েতনাম: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, তালেবান নেতা মোল্লা আখতার মোহাম্মদ মনসুরের মৃত্যু আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথে ‘গুরুত্বপর্ণ মাইলফলক’।
ভিয়েতনাম সফররত প্রেসিডেন্ট ওবামা সোমবার বলেন, “মনসুর মারা গেছেন এটি নিশ্চিত।”
“মনসুরকে হত্যার মাধ্যমে আমরা তালেবান ও এ ধরনের জঙ্গি গোষ্ঠিগুলোকে স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে, আমরা জনগণের সুরক্ষা করে যাব। তাদের ঠিক এই বার্তাই পাঠানো হয়েছে।”
আফগানিস্তানে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যরা এখন আর সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে না। বরং তারা সন্ত্রাস দমনে আফগান সেনাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
ওবামার অনুমতিতেই মনসুরের গাড়ি বহরে ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওবামা বলেন, “তালেবান প্রধান হিসেবে বিশেষ করে মনসুর আফগানিস্তানে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিলেন।”
আগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ কৌশলে পরিবর্তন করা হবে না বলেও জানান ওবামা।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবানদের যে সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়েছে সেখানে আমরা পুনরায় অংশগ্রহণ করব না। আমাদের কাজ তাদের সাহায্য করা, যেন তারা নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেরাই করতে পারে।
গত বছর তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের মৃত্যুর খবর প্রকাশ পাওয়ার পর জঙ্গি সংগঠনটির নতুন শীর্ষ নেতা নির্বাচিত হন মনসুর। ২০১৩ সালে মোল্লা ওমরের মৃত্যু হলেও প্রায় দুই বছর তা গোপন রাখা হয়।
তালেবান গোষ্ঠী মনসুরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত না করলেও এরই মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচনে তারা বৈঠকে বসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রসঙ্গত আফগান সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ বেলুচিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন (চালকবিহীন বিমান) হামলায় আফগান তালেবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা মনসুর নিহত হন।
রোববার আফগানিস্তান সরকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ এ খবর নিশ্চিত করেন। আফগানিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থাও মনসুরের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
তবে শুক্রবার নাকি শনিবার ওই হামলা চালানো হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।