শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১

ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু : কেউ কথা রাখেনি, কেউ মনে রাখেনি

| প্রকাশিতঃ ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | ১২:০৪ অপরাহ্ন

হোসাইন সাজ্জাদ : ‘কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখেনি’ -সুনীল গঙ্গোপধ্যায়ের কাব্যিক এই আক্ষেপ ছাপিয়ে আক্ষেপটা আরও বড় হয়ে ওঠে জাতি যখন ইতিহাসের অংশকে ভুলে যায়, গৌরব-আশ্রিত সময়ের সাহসী অধ্যায়কে স্মরণ না করে।

ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু জাতির সংকট-সন্ধিক্ষণে জ্বলে ওঠা তেমনই এক আখ্যান; অথচ তিনি আজ বিস্মৃত। তাঁর পাঠ-পঠন দূরের কথা, কেউ তাকে মনে রাখেননি; এমনকি মৃত্যুদিবসেও না।

হ্যাঁ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় যোদ্ধা ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৮ ফেব্রুয়ারি)।

এ উপলক্ষে জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর পারিবারিক আয়োজন ছিল বটে, কিন্তু কোনো সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাঁকে স্মরণের, শ্রদ্ধার কোনো আয়োজন-উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। এমনকি কবরে শ্রদ্ধা জানাতে, ফুল দিতেও যাননি কেউ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে রাউজানের কদলপুরস্থ ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর কবরে তাঁর ঢাকা মেডিকেল কলেজের রাজনৈতিক অনুজ, সহকর্মী ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া ছাড়া আর কেউ যাননি।

বিষয়টি স্বীকার করে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া একুশে পত্রিকাকে বলেন, হ্যাঁ এটা ঠিক। তার কবরে কোনো রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আমি দেখিনি। টিংকু ভাই অজস্র-অগণন রাজনৈতিক নেতাকর্মী সৃষ্টির কারিগর। ‘৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দেশের সব মানুষ অংশ নিয়েছিল। আর টিংকু ভাই ছিলেন কান্ডারি, ত্রাতার ভূমিকায়। তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে অসীম করে। অথচ সেই ইতিহাসকেই আমরা ভুলে যাচ্ছি, ভুলতে বসেছি।- যোগ করেন ডা. বিদ্যুৎ।

প্রসঙ্গত, ঢাকা মেডিকেল কলেজ অধ্যয়নকালেই জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকুর বিস্ফোরণোন্মুখ ছাত্ররাজনীতির উন্মেষ ঘটে। তিনি ছিলেন জাতীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য উপ কমিটির সদস্য। ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৯ বছর বয়সে বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির এই ধ্রুবতারার অকাল প্রয়াণ হয়।