রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে সব অপারেশনাল কাজ বন্ধ ঘোষণা

| প্রকাশিতঃ ২০ মে ২০১৬ | ৫:০০ অপরাহ্ন

port ctgচট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু এগিয়ে আসায় সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে জাহাজে পণ্য উঠানামাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বড় জাহাজগুলো নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করাসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) জাফর আলম জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে আসা মাদার ভ্যাসেলগুলোকে (বড় জাহাজ) নিরাপদ স্থানে অবস্থানের কথা বলা হয়েছে। লাইটারেজ জাহাজগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে কোন ধরনের চলাচল না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেটিতে অবস্থানরত সকল জাহাজকে জেটি ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিসহ সকল স্থাপনায় স্পর্শকাতর সব যন্ত্রাংশ সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে জাহাজে পণ্য উঠানামাসহ সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে রোয়ানু’র সতর্কতায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করা ৬৬টি বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব জাহাজে আছে চাল, সিমেন্ট ক্লিংকার, লবন, সার, বিলেট, জ্বালানি তেল সহ নানা ধরনের পণ্য। পাশাপাশি খালাস করা পণ্য নিয়ে অন্তত অর্ধ শতাধিক লাইটার জাহাজ ভেসে আছে কর্ণফুলী নদীতে। পণ্যবাহী লাইটার জাহাজ ছাড়াও প্রচুর ফিশিং ট্রলার অবস্থান নিয়েছে কর্ণফুলীর বিভিন্ন ঘাটের আশপাশে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বহির্নোঙরে মোট জাহাজ সংখ্যা ছিল ১০৭টি। এরমধ্যে পণ্য বোঝাই জাহাজ আছে ৬৬টি। পণ্য লাইটারেজে শুরু হয়েছে ৪১টি জাহাজে। কিন্তু আবহাওয়ার চার নম্বর সতর্ক সঙ্কেত ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সব ধরনের পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার সাত নম্বর সঙ্কেত ঘোষণার পর কর্ণফুলী নদী থেকে কোন লাইটার জাহাজ যায়নি বহির্নোঙরে।

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান রঞ্জু জানান, চার নম্বর সতর্ক সঙ্কেত ঘোষণার আগেই বহির্নোঙর থেকে অন্তত ৪৫টি লাইটার জাহাজ পণ্য বোঝাই করে। এসব জাহাজের বেশিরভাগ দেশের বিভিন্ন নৌ বন্দরে যাওয়ার কথা। কিন্তু সতর্ক সঙ্কেত ঘোষণার কারণে লাইটার জাহাজগুলো চট্টগ্রামের বাইরের নৌ বন্দরের উদ্দেশে যেতে পারছেনা। কর্ণফুলীর বিভিন্ন ঘাট এলাকায় নোঙর করে আছে।