জসিম উদ্দীন, কক্সবাজার : পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি জনমুখী করতে, মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে কক্সবাজারের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘বিট পুলিশিং’ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। একই সাথে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কক্সবাজার জেলার সকল ইউনিয়নের দ্রুত ‘বিট পুলিশিং’ কার্যক্রম চালু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক বিটের জন্য একজন করে উপপরিদর্শকসহ (এসআই) পাঁচজনের পুলিশ সদস্য থাকবেন। ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে একটি রুমকে বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হবে।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন একুশে পত্রিকাকে বলেন, বিট পুলিশিং কার্যক্রম পুলিশ বিট হিসেবে চিন্তা করা হবে। একটি পুলিশ বিটে যে ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হয় একইভাবে বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রম চলবে।
এতে করে পুলিশ বাহিনী আরো বেশি জনবান্ধব হয়ে উঠবে ও মানুষের কাছাকাছি থেকে সেবা নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করেন ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।
এদিকে বির্তকের কারণে কক্সবাজার কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিগুলোকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজারে কমিনিটি পুলিশিংয়ের নাম ভাঙিয়ে অনেকেই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। কেউ আবার থানার দালালি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আদায় করছেন টাকা। বিশেষ করে টেকনাফ-উখিয়ার কমিউনিটি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
এ ছাড়াও কক্সবাজার কমিনিটি পুলিশিংয়েরে জেলা কমিটির সভাপতি তোফাইল আহমেদকে নিয়েও এখন বিতর্ক চরমে। এ কারণে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং কমিটিকে বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে কমিনিটি পুলিশিংয়ের কমিটির বিতর্কিত সবাইকে বাদ দিয়ে ঢেলে সাজানো হবে।
কমিনিটি পুলিশিং কার্যক্রম বিলুপ্ত করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিনিটি পুলিশিং কোন আইনি কাঠামোর উপর ভিত্তি করে গঠে উঠেনি। এটি কমিনিটির একটি অংশ। তবে আলটিমেটলি মানুষ বিট পুলিশিং এর দিকে যাবে।
বিট পুলিশের সদস্যরাই সেবা নিয়ে মানুষের কাছে যাবেন বলে মন্তব্য করেন ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।