আবু আজাদ, পটিয়া থেকে : পটিয়ার জনসভা থেকে রেললাইনসহ নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিবেন এমনটাই আশাবাদ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের।
দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল কর্ণফুলী নদীর উপর রেললাইনসহ নতুন একটি সেতু নির্মাণের। এই সেতু নির্মাণের দাবিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষজন মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রধানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছিলেন বিভিন্ন সময়ে।
এর আগে ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী শাহ আমানত ব্রিজ উদ্বোধন শেষে শিকলবাহায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের প্রত্যাশা ছিল, প্রধানমন্ত্রী আজ যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন সে তালিকায় সেতু নির্মাণের বিষয়টিও অর্ন্তভুক্ত থাকবে। কিন্তু না থাকায় কিছুটা হতাশা আছে। অবশ্য দক্ষিণ চট্টগ্রামের বেশির ভাগ মানুষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, আজকের জনসভা থেকে রেললাইনসহ নতুন সেতু নির্মাণের বিষয়ে ঘোষণা দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো–অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) এই অথের্র জোগানের জন্য বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তির আওতায় কর্ণফুলী নদীর বোয়ালখালী–কালুরঘাট অংশে নতুন সেতু নির্মাণে ১১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রেললাইন কাম সড়ক সেতু নির্মাণ করা হবে।
‘বোয়ালখালী–কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক রমেন দাশগুপ্ত বলেন, নতুন সেতু নির্মাণ হলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজার এলাকার সাথে চট্টগ্রাম নগরীর যোগাযোগ আরো সহজ হবে।
পাঁচ বছর পর চট্টগ্রামে বড় আকারের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নির্বাচনী বছরে প্রধানমন্ত্রী তার উপহার স্বরূপ ৪১ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করছেন। এর মধ্যে ২৮টি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্প, ১৩টি উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্প।
একুশে/এএ